বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১১

Graphics designer post vacant in Jalpaiguri

Graphics designer post vacant. If you are friendly with digital designing and have some aesthetic seance, you are invited to attend walk in interview in Micro-KPO, Sebagram, Jalpaiguri or call us 03561-276670 for more details.

Software like Photoshop, corel, inkscape, gimp, powerpoint, word and web development is our preference. If you have speciality in any of the listed above, you will be eligable for the interview.

Time for interview: Moneday to friday 11am to 4pm

বৃহস্পতিবার, ১৩ মে, ২০১০

উকিলে ছুলে ছত্রিশ ঘা

কথায় বলে পুলিশে ছুলে আঠেরো ঘা আর উকিলে ছুলে ছত্রিশ। কথাটা হাড়ে হারে টের পাচ্ছেন জলপাইগুড়ি ব্যাবসায়ী সমিতি। কেন? আদপে কোনো সাধারন ব্যাবসায়ীর উকিলের সাথে গন্ডোগোলেই জড়াতে চাইবেন না। কিন্তু সমাজপাড়ায় ঘটনা একদম ভিন্নগতীতে ঘটেগেলো। সামনে দাঁড়িয়ে সব দেখলাম। মাতাল উকিল চড়াও হলেন এক ছোট্টো ব্যাবসায়ীর উপর। কারন কি? একটা বাচ্চাকে উকিল আইনের লাথি মারলেন পেছনে। প্রতিবাদ করতে গেলেন দুই একজন ব্যাবসায়ী। মাতাল উকিল মাড়লেন ব্যাবসায়ীকে। এটাতো আইনত দন্ডনিয় অপরাধ। কার পেছনে কে দাড়ালেন দেখা দরকার। প্রথমত বাচ্চাটার পেছনে দাড়ালেন ব্যাবসায়ীরা, ব্যাবসায়ী দের পেছনে সমিতি, সমিতির পেছনে রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে মদপ্য উকিলের পেছনে আরো কিছু অপরাধ প্রবন উকিল, অপরাধ প্রবন উকিলের পেছনে বার কাউন্সিল, বার কাউন্সিলের পেছনে ডিস্ট্রিক যজ এবং পুলিশ।


কাজেই সামলে থাকুন জলপাইগুড়ির নাগরিক, সমাজ বিরধী উকিলে যদি আপনাকে ছুয়ে যায়, তাহলে ছত্রিশের যায়গায় বাহাত্তুর ঘাঁ হতেই পারে। এই বিষয়ে উল্যেখ করা দরকার, ঘটনা স্থলে অনুপস্থিত আনন্দবাজারের সাংবাদিক উকিলের তাবেদারি করেই লেখা ছাপালেন আনন্দবাজারের প্রথম পাতায়। হায়রে সাধারন মানুশ, পালাবি কোথায়?

রুখে দাড়ালেন প্রতিবাদী বাবা

এপ্রিলের ৩ তারিখ, ২০১০। আনন্দবাজার পত্রিকা। খবরঃ "রুখে দাড়ালেন প্রতিবাদী বাবা-আমার ছেলে মরে যাচ্ছে, কীসের অবরোধ এখানে" । চমকে গেলাম বিচিত্র এই খবর পড়ে। শিয়ালদা-বনগাঁ লাইনের, বামনগাছি স্টেসনে ট্রেন অবরোধের বিরুদ্ধে একক প্রতিবাদে হাবরার শ্যামল ঘোষ। শ্যামল বাবুকে আমাদের তরফ থেকে সন্মান শুভেচ্ছা জানাই।

সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে একক প্রতিবাদ নিতান্তই বিরল ঘটনা? আমারতা মনে হয়না। আমার মনেহয়, আনন্দবাজারে ছাপানোটা একটা সত্যি প্রতিবাদের গল্প আমাদের সমাজ চালনাকারী দলগত ক্ষমতাবাদী মানুষের কাছে পৌছে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ন। শ্যামল বাবু তার কোলের শিশুটির জীবনের লড়াইকে সমর্থন করেছেন মাত্র। শিশুটির হাতে ছাড়পত্র রেখেগেলেন বিপ্লবী কবি।

বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০১০

স্বাস্থ পরিসেবা

জলপাইগুড়ি সদর হসপিটাল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন গণ-পরিষেবা কেন্দ্র। প্রায় অর্ধেক জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ পরিষেবা এই হসপিটালের উপর নির্ভর করে। বীরপারা, লাটাগুড়ি, নাগরাকাটা, ফালাকাটা, ময়নাগুড়ি, হলদীবাড়ির নিম্নবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তদের একমাত্র আপাতকালীন চিকিৎসার ঠিকানা।
আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি যে এখানে ভালো ডাক্তার পাওয়া যায়না, এখানকার চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ খারাপ মানের। তাহলে প্রশ্ন আসতেই পারে, ডাক্তার সম্প্রদায়ের কি কোন বিবেক বোধ নেই? নিজেদের বিদ্যার সঠিক ব্যাবহার করা কি এরা জানেনা? যদি এতটুকুও বিবেক বোধ থাকত তবেকি নিজেদের সময়ের সাথে Update করার চেষ্টা করতেন না?
তবে একটা জিনিস লক্ষ করে দেখছি, এখানে Indian Medical Association(IMA) একটি সক্রিয় সংগঠন। যেখানে প্রতি মাসে পার্টি করে ডাক্তার পরিবারের লোকেরা।
এরাই উদ্যোগ নিয়ে সমাজপাড়ার ব্রাহ্মসমাজের ১২৫ বছরের প্রার্থনার মন্দিরের ঐতিহ্যের টান কাটিয়ে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে নতুন পার্টি হল তৈরী করেছেন।
এরাই যদি একটু সহৃদ উদ্দোগী হয়ে আমাদের পরিষেবার কথা ভাবতে শুরু করে তবেই একমাত্র এই সকরুন অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। অথবা মধ্যবিত্তের চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, কলকাতা আছে। আর গরীবের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হসপিটাল।

শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০১০

তিস্তায় বর্জ্য পদার্থ কেন?

বর্জ্য পদার্থ তিস্তায় কেন? কারা ফেলল? কেনইবা এতদিন চরে পড়ে থাকল? সদুত্তর পাবনা আমরা কেওই। আমাদের সাধারন বুদ্ধি দিয়ে একটা পুরনো রক্তদানের প্লাস্টিকের ব্যাগ কোথা থেকে এসেছে এটা বুঝে নিতে অসুবিধা হবেনা। সাধারন ভাবে পুলিশ বা পৌরপিতা কারোর বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা তো নয়। তবে কেন এত প্রশ্ন উঠে আসছে সংবাদ পত্রগুলোতে?
মানুষ সমাজবদ্ধজীব। অসামাজিক মানুষরাও অসমাজবদ্ধ জীব হওয়াই স্বাভাবিক। কার্যত যারা প্রতিনিয়ত অসামাজিকাতায় জরিয়ে আছে তাদের কাছে পার পেয়ে যায় তাদের নিকটজনেরা। সাধারনভাবেই আমরা কোনদিন জানতে পারবনা কারা অপকর্মটি করেছেন। কেনই বা পরিস্কার করতে এত সময় লাগল। তাছাড়া আমাদের তো সহজেই ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আছে, বেকার এত কথা, কাগজ খরচ করার কোন মানে হয় না।
তিস্তার চড়ের বর্জ্যের গল্প ভুলে যাব একদিন। যেমনভাবে ভুলে গেছি “মসজিদের পুকুরপাড় বাঁধানো হওয়ার মাত্র এক মাসেই ধসে পড়ে গেল প্রথম বৃষ্টিতেই”।

মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০১০

The Jalpaiguri Riders

যবে প্রথম হিরোহোন্ডা CD100 বাজারে ছারলো, তবে থেকে মধ্যবিত্তের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম হয়ে উঠলো বাইক। যদিও বাইক ১৯২৫ নাগাদ বাহন হিসাবে বাজারে উপলব্ধ ছিল, সুধুমাত্র সেনা এবং উচ্চ শ্রেনির বেপরোয়া ছেলেদের। আমাদের দেশে বাইক জনপ্রিয়তা পেয়েছে CD 100 এর হাত ধরে।

জলপাইগুড়িতে স্কুটারের দেখা পাওয়া যেত বেশী, তুলনায় বাইক বলতে "বাগান বাবু দের" রাজদুত নয়ত বুলেট।দিন বদলে গেছে অনেক। স্কুটার হারিয়েগেছে প্রায়। বাইক আকার প্রকারে অনেক রকমের হয়েছে। সঙ্গে বাইকার পালটে গেছে

বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

উত্তর বঙ্গ জনস্রোতে চা বাগান সমস্যা, গোর্খা ল্যান্ড, আদিবাসি বিকাশ পরিষদ, কামতাপুরি আন্দোলন, ইত্যাদিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ব্যাক্তি ঊদ্দ্যগ উন্নয়ন ভাবনা। শতাব্দি প্রাচিন কৃষি প্রধান, শিল্প-অনুন্নত, মহাভারতের সময় থেকে পান্ডব বর্জিত, আমাদের এই পুন্য ভুমিতে বিশ্বায়নের হাওয়া বইছে ধিরে ধিরে, প্রান ভরে শ্বাস নিচ্ছে উচ্চ-মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা। উন্নয়ন এর শুরু হয়েছে বলার থেকে, উন্নয়ন কিছু একটা হচ্ছে বলে সারা ভারত জুড়েই প্রচারে আছে বলাই স্রেয়বানিজ্যিক এবং সরকারি প্রচার দেখে তাই মনে হয়। উত্তর বঙ্গে এমন একটা উন্নতির কথা এখন প্রচারে আসার মত বড় নয়। তবুও কিছু একটাযে এখানে হচ্ছে এটা ঊদ্দ্যগীরা নিজের মন থেকে মেনে নেবেন।

বিগত দশ-বারো বছরে উত্তর বাংলার মাটিতে শেকড় ছড়িয়েছে একটি কৃষি-শিল্প-পতি যুবক সমাজ, সাথে সামঞ্জস্য রেখে শহর ভিত্তীক পরিকাঠামো ও শিল্প উদ্দ্যগীরা। দীর্ঘ দিন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এবং বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের প্রায় সমস্ত বিনিয়গকারিরা বহিরাগত ছিলেন, কার্যত প্রায় সমস্ত আয়ের মুল আংশ চলে যেত উত্তর বাংলার বাইরে। আজকের সামগ্রিক উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে খেটে খাওয়া মেহনতি মধ্য-বিত্ত আর উচ্চ-বিত্তরা। (কথাগুলি একটু আলাদা লাগছে কানে। আসলে গরিব বলুন আর ধনিই বলুন, খেটে খাওার মেহনতি হওয়ার অধিকার সকলেরি আছে। আর জেলা স্তরে গরিব মেহনতি মানুষের দায়িত্ব নেওয়া নেতারা, দল মত নির্বিসেষে উচ্চ-মধ্য-বিত্ত আর উচ্চ-বিত্তরাই) স্থানিয় উন্নয়ন সার্বিক করতে এখান থেকেই উঠে এসেছে কিছু উচ্চাকাক্ষী, আরো আনেকেই সুযোগ সন্ধানে নিজেদের যাচাই করে নিতে


নিজেকে বিশ্বায়নের যুগে, নিজেকে নতুন করে চিনেনিতে মোবাইল ফোন আর কেবল টিভির যুগে, উত্তর বঙ্গের মানুস সময় নিয়েছে আনেক। বিগত দশ বছরের উন্নয়নকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করে নিলে দেখা যাক
প্রথমত ২০০০ থেকে ২০০৪। এই সময় যোগাযগ ব্যাবস্থা, মোবাইল ফোন এবং টেলিভিশন ছড়িয়ে পরে শহর গুলিতে। কিছু মানব সম্পদ অর্থ অথবা শিক্ষার সন্ধানে। 

উত্তরের বানিজ্য সম্ভাবনা

উত্তর বংলাকে কোনো বিচ্ছিন্ন এলাকা হিসাবে আমরা আজ ভাবতে বাধ্য নই। এখানেও বিশ্বায়নের প্রভাব, উন্নতি আর শংকা মিলেমিশে যে বাজার তৈরি করেছে, তার সুফল খুব কম স্থানিয় ব্যাবসায়ীর ব্যাংক ব্যালান্স বাড়াতে পেরেছেআবার কিছু ব্যাবসায়ীর কাছে আংশিক ভাবে বিশ্বায়ন একটি নুতুন সুযোগের সম্ভাবনা। সকালের রোদ একটু বেলা করে ঘুমন্ত দানবকে জাগাচ্ছে, জানালার ফাকদিয়ে এসে।