বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

উত্তর বঙ্গ জনস্রোতে চা বাগান সমস্যা, গোর্খা ল্যান্ড, আদিবাসি বিকাশ পরিষদ, কামতাপুরি আন্দোলন, ইত্যাদিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ব্যাক্তি ঊদ্দ্যগ উন্নয়ন ভাবনা। শতাব্দি প্রাচিন কৃষি প্রধান, শিল্প-অনুন্নত, মহাভারতের সময় থেকে পান্ডব বর্জিত, আমাদের এই পুন্য ভুমিতে বিশ্বায়নের হাওয়া বইছে ধিরে ধিরে, প্রান ভরে শ্বাস নিচ্ছে উচ্চ-মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা। উন্নয়ন এর শুরু হয়েছে বলার থেকে, উন্নয়ন কিছু একটা হচ্ছে বলে সারা ভারত জুড়েই প্রচারে আছে বলাই স্রেয়বানিজ্যিক এবং সরকারি প্রচার দেখে তাই মনে হয়। উত্তর বঙ্গে এমন একটা উন্নতির কথা এখন প্রচারে আসার মত বড় নয়। তবুও কিছু একটাযে এখানে হচ্ছে এটা ঊদ্দ্যগীরা নিজের মন থেকে মেনে নেবেন।

বিগত দশ-বারো বছরে উত্তর বাংলার মাটিতে শেকড় ছড়িয়েছে একটি কৃষি-শিল্প-পতি যুবক সমাজ, সাথে সামঞ্জস্য রেখে শহর ভিত্তীক পরিকাঠামো ও শিল্প উদ্দ্যগীরা। দীর্ঘ দিন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এবং বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের প্রায় সমস্ত বিনিয়গকারিরা বহিরাগত ছিলেন, কার্যত প্রায় সমস্ত আয়ের মুল আংশ চলে যেত উত্তর বাংলার বাইরে। আজকের সামগ্রিক উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে খেটে খাওয়া মেহনতি মধ্য-বিত্ত আর উচ্চ-বিত্তরা। (কথাগুলি একটু আলাদা লাগছে কানে। আসলে গরিব বলুন আর ধনিই বলুন, খেটে খাওার মেহনতি হওয়ার অধিকার সকলেরি আছে। আর জেলা স্তরে গরিব মেহনতি মানুষের দায়িত্ব নেওয়া নেতারা, দল মত নির্বিসেষে উচ্চ-মধ্য-বিত্ত আর উচ্চ-বিত্তরাই) স্থানিয় উন্নয়ন সার্বিক করতে এখান থেকেই উঠে এসেছে কিছু উচ্চাকাক্ষী, আরো আনেকেই সুযোগ সন্ধানে নিজেদের যাচাই করে নিতে


নিজেকে বিশ্বায়নের যুগে, নিজেকে নতুন করে চিনেনিতে মোবাইল ফোন আর কেবল টিভির যুগে, উত্তর বঙ্গের মানুস সময় নিয়েছে আনেক। বিগত দশ বছরের উন্নয়নকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করে নিলে দেখা যাক
প্রথমত ২০০০ থেকে ২০০৪। এই সময় যোগাযগ ব্যাবস্থা, মোবাইল ফোন এবং টেলিভিশন ছড়িয়ে পরে শহর গুলিতে। কিছু মানব সম্পদ অর্থ অথবা শিক্ষার সন্ধানে। 

কোন মন্তব্য নেই: